রাজধানী ঢাকায় এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এর পরই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ।
গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ৩১২ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ভেতরে ঢাকার রয়েছে ৪৪ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ৩১ শতাংশ বাকি ২৫ শতাংশ সারাদেশের।
রোববার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৩৪ জনকে টেস্ট করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩১২ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৪৫৬ জনে। এদিকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এ নিয়ে মোট ৭৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
মন্ত্রীর ব্রিফের পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্য ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। এরমধ্যে ঢাকার তিনজন ও নারায়ণঞ্জের চারজন মারা যান। শনাক্তকৃত ব্যক্তিদের মধ্য ৩০-৪০ বছর বয়সের ২৩.৪ ভাগ, ২১-৩০ বছর ২২.৩ ভাগ এবং বাকীরা কমবেশি অন্যান্য বয়সের মধ্যে আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ হলেও পরীক্ষা হয়েছে ২৬৩৪ জনের। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৬৬ ভাগ এবং নারী ৩৪ ভাগ। তাদের ভেতরে ঢাকার রয়েছে ৪৪ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ৩১ শতাংশ বাকি ২৫ শতাংশ সারাদেশের।
করোনা যুদ্ধে মূলমন্ত্র ঘরে থাকা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা সংখা বাড়াতে হবে, ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঘরে থাকতে হবে। একটু কষ্ট করে ঘরে থাকুন, তাহলে আমাদের জয় আসবেই।
Discussion about this post