অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মহামারিটি কোন দিকে যাচ্ছে তার অনেকখানি ধারনা আমরা পেতে পারি এই রোগটির পেছনে যে ভাইরাস দায়ী, সেই সার্স-কভ-২ এর জিনোম তথ্য উদঘাটন করে। আমরা জানি জিনোম সিকোয়েন্স যেকোন জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের ব্লু-প্রিন্ট। সার্স-কভ-২ এর জিনোমের আকার হচ্ছে ৩০ হাজার বেস পেয়ারের কাছাকাছি। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিবর্তিত হয়েছে যা এর রোগ সৃষ্টির ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।
সার্স-কভ-২ এর জিনোমে পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযু্ক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব। তিনি তার গবেষণায় দেখিয়েছেন, যেসব দেশে তুলনামূলকভাবে কম সংক্রমণ হয়েছে সেসব দেশে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের একটি একটি বিশেষ জিনে পরিবর্তন হয়েছে। তিনি এই পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে সারা পৃথিবীর সার্স-কভ-২ ভাইরাসগুলোকে দুটো ভাগে ভাগ করেছেন। তিনি বলছেন- “এর ফলে ভাইরাসটিকে গবেষণার আওতায় আনা সহজ হবে।”
বাংলাদেশে ভাইরাসটির কোন ধরণ বিরাজ করছে তা উদঘাটন করতে পারলে কভিড-১৯ মহামারির ভবিষ্যত গতিপ্রকৃতি বুঝতে তা অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুমান করা হয়- বাংলাদেশে চীন, ইতালি এবং যুক্তরাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি এসেছেন। সুতরাং ওইসব দেশের সাথে বাংলাদেশে বিদ্যমান ভাইরাসের মিল থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সত্যিকার চিত্র গবেষণা ছাড়া জানা সম্ভব নয়। ইতালির সব অঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণ সমান নয়। যুক্তরাজ্যেরও সব জায়গায় মানুষ একই হারে আক্রান্ত হয় নি। এর পেছনে অন্যান্য কারণের সাথে ভাইরাসের জিনের পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প খরচেই ভাইরাসের জিনোম তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব। এ কাজটি দেশের বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় অতি শিগগিরি করা দরকার।
আর পুরো জিনোম তথ্য না দেখেও কেবল পাঁচটি অবস্থান বিশ্লেষণ করলে সার্স-কভ-২ ভাইরাসটির ধরন সম্বন্ধে ধারনা পাওয়া যাবে। এভাবে খরচ আরো কমানো সম্ভব। ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব এ বিষয়ে তার গবেষণায় একটি নির্দেশনা প্রদান করেছেন।নিচে লিঙ্কটি দেয়া হলো-
Discussion about this post