অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সেভ ইয়ুথ প্রোগ্রামের আওতায় এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস) এবং ইউকেএইড এর সহযোগিতায় ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ জন শিক্ষার্থীকে ৬ মাস মেয়াদী ইয়ুথ ‘প্রমিস ফেলোশিপ’ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন সেভ ইয়ুথ প্রোগ্রামের মডারেটর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, উক্ত ফেলোশিপের অধীনে শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য, ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং সোশ্যাল স্টিগমা প্রতিরোধে পাল্টা বার্তা প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সার্বিকভাবে এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য তরুণদের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করা এবং মানবিক, বিজ্ঞানমনস্ক এবং গবেষণালব্ধ তথ্য প্রচারে উৎসাহিত করা।
এ বিষয়ে আইনুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি সময়োচিত উদ্যোগ। সারাদেশে লকডাউনের কারণে এখন বিশ্ববিদ্যালয়সমুহে ছুটি চলছে। এই ফেলোশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক ভূমিকা পালনে উদ্ভুদ্ধ করবে। শিক্ষার্থীদের ভয়েসকে শক্তিশালী করবে এবং কোভিড-১৯ মোকাবেলায় তরুণদের সক্ষমতা বাড়াবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফেলোশিপ প্রাপ্ত ৩২ জন শিক্ষার্থীরা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, জগন্নাথ, এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যয়নরত।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি একজন কোভিড-১৯ স্বেচ্ছাসেবক। এই ফেলোশিপ কমিউনিটির জন্য কাজ করতে আমাকে আরো উৎসাহিত করবে।’
ফেলোশিপের আওতায় আসা পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যনরত তুহিন চাকমা বলেন, ‘আমি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল নানিয়াচরের বাসিন্দা। আমার জন্য এটি একটি বড় সুযোগ, যার মাধ্যমে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সচেতন করতে পারব।’
বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ ফোরহাদ চৌধুরী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তরুণদের সাথে সেভ বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সেই কাজের অংশ হিসাবে এ ধরণের উদ্যোগ সময়োপযোগী। এর ফলে শিক্ষার্থী ও সমাজ উভয়ই লাভবান হবে।’
Discussion about this post