অনলাইন ডেস্ক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আই আই টি) শিক্ষক ও ছাত্র মিলে করোনাভাইরাস নিয়ে এক ভিন্নধর্মী Pashe Achi (পাশে আছি) অ্যাপ উদ্ভাবন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আই আই টির সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আল মামুন ও ইন্সিটিউটটির ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহীন বাশারের সহযোগিতায় এই ভিন্নধর্মী অ্যাপ উদ্ভাবন করেছেন।
এই অ্যাপের বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক শামীম আল মামুন জানান, আমাদের তৈরী মোবাইল অ্যাপের বিশেষত্ব হলো- এই অ্যাপে আছে করোনা সম্পর্কিত সকল তথ্য আর থাকছে স্থানীয় পর্যায়ে সেবা প্রতিষ্ঠান গুলোর ম্যাপ লোকেশন।
মানুষ কি সুবিধা পাবে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এতে থাকছে একটি চলমান ম্যাপ। যাতে দেখা যাবে কোন সংগঠন কোথায় তাদের সাহায্য বিতরণের কাজ করছে। এতে করে অন্যান্য সংগঠনগুলো অথবা ব্যাক্তি তাদের সাহায্যের সঠিক বিতরণের প্ল্যান করতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, এই অ্যাপে আরো থাকছে দেশ ভিত্তিক সংগঠন বা এলাকা ভিত্তিক সামাজিক সংগঠনের তালিকা ও আর্থিক সাহায্যের আবেদন করার মেনু। আরও থাকবে, কারা কোন দিন কোন সংগঠন থেকে সাহায্য পেয়েছেন তার বিবরণ। যাতে একই ব্যাক্তি অযাচিতভাবে একাধিক সাহায্য না পান; এককথায় সুষম বন্টনের একটি তালিকা। এছাড়াও কোন ব্যাক্তি যদি কোন নির্দিষ্ট জায়গায় তার সাহায্য করতে চান, তাহলে ওই এলাকার সংগঠন গুলোর তালিকা ও ডোনেশনের টাকাও দেখতে পাবেন।
এছাড়া কোন সংগঠন যদি এই অ্যাপ ব্যবহার করে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন- তবে কত টাকা তারা উঠাতে চান এবং কোন এলাকা এবং কাদের মাঝে বিতরণ করতে চান তার বিবরন দিয়ে এই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আবেদন করার সাথে সাথে তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিকট এসএমএস এর মাধ্যমে চলে যাবে এবং সংগঠন ও পেয়ে যাবে ফিরতি এসএমএস। যাতে থাকবে পুলিশ প্রশাসনের নম্বর। এর মাধ্যমে তারা সহজে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, সাথে আরো আনুষাঙ্গিক ফিচারস থাকছে।
শামীম আল মামুন আরও বলেন, আমাদের মূল আগ্রহ ছিল মেশিন লার্নিং। অর্থাৎ কিভাবে এই সংকট মোকাবেলায় আমরা সহজে অসহায়দের নিকট সাহায্য পৌঁছাতে পারি। তাই, এই অ্যাপে ব্যবহার করা হয়েছে, মেশন লার্নিং এলগরিদম যা ত্রাণ বিতরণে সুষম বন্টন নিশ্চিত করবে এবং ডোনেশন প্রদানে ও গ্রহনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। এছাড়া অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোন ব্যবহারকারী তার নিকটস্থ পুলিশ ষ্টেশন ও হাসপাতালের সাথে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবে।
কোথায় পাবে এমন প্রশ্ন তিনি জানান, বর্তমানে অ্যাপটির ডেমো আমাদের গুগল ড্রাইভে রাখা আছে। তাতে করোনা তথ্য নিয়মিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইনফো সংযোজিত করা আছে। তিনি বলেন, খুব শিগ্রই আমরা আমাদের অ্যাপের যাবতীয় ফিচার সহকারে অ্যাাপটি আপডেট করবো। অ্যাপটি গুগল প্লেস্টোরে আসতে আরো এক সপ্তাহ লাগবে।
এই অ্যাপের উদ্ভাবক আশাবাদ ব্যক্ত করেন সকল সামাজিক ও ব্যাক্তি সংগঠনের তাদের তৈরী এই অ্যাপ ব্যবহার করে এই মহামারীর সংকটকালে খাদ্যের সুষম বন্টন নিশ্চিত করবেন।
Discussion about this post