অনলাইন ডেস্ক
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) সৃষ্ট সংকটের মধ্যে নিজেদের খাবার ও প্রতিদিনের ব্যয় থেকে বাঁচানো অর্থে দুধ ও খাদ্য সহায়তা নিয়ে অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াতে দেশের সব কর্মী-সংগঠকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) খেলাঘরের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মন্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রণয় সাহা জানান, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে এবার অনাড়ম্বরভাবে খেলাঘর জন্মদিন পালন করবে।
করোনা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের পক্ষ থেকে গৃহিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ঘরে বন্দি শিশুদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশ ধরে রাখতে তাদের সৃষ্টিশীল কাজে উৎসাহিত করার বিকল্প নেই। তাই নিজে বই পড়া ও শিশু কিশোরদের ভালো বই পড়তে উৎসাহ দেওয়াসহ সাহিত্য চর্চার সুযোগ করে দিতে হবে।
পাশাপাশি শিশুদের সবসময় আনন্দময় পরিবেশে রাখতে অভিভাবকদের প্রতি বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়। সেইসঙ্গে শিশুরা যেন কোনো ভাবেই নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচড়ণের শিকার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে অভিভাবদের আরো যত্নশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
দুধ ও খাবার নিয়ে অন্তত একজন অসহায় শিশুর পাশে দাঁড়াতে সারাদেশে সংগঠন ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খেলাঘর চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন কার্যত লকডাউনে সারাদেশ। নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে অসহায় শিশুদের কষ্ট বেড়েছে। বেড়েছে খাদ্য সংকট। অনেকে খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই নিজে কম খাবার খেয়ে ও প্রতিদিনের ব্যয় থেকে সামান্য টাকা বাঁচিয়ে অসহায় শিশুর পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানো প্রয়োজন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রতিবারের মত এবারও খেলাঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। সংগঠনের ৬৮তম প্রতিবার্ষির্কী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ে ১২টি জেলা শাখার পৃথক অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সিডি প্রচারের জন্য বিভিন্ন টেলিভিশনে পাঠানো হয়েছে।
শিশু অধিকার সুরক্ষায় ১৯৫২ সালের ২ মে কবি রণেশ দাশগুপ্ত, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, কবি হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক বজলুর রহমান, সাহিত্যিক সাংবাদিক সত্যেন সেনসহ অসংখ্য আলোকিত মানুষের হাত ধরে খেলাঘরের যাত্রা শুরু হয়। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোল’ এই স্লোগানে সংগঠনটি এখন সারাদেশে ছয়শ’র বেশি শাখা আসর নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
Discussion about this post