শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে আগামী সাত কার্যদিবস সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে সমিতির নেতারা সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের দাবিদাওয়ার কথা জানান।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল রোববার থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেননি শিক্ষকেরা।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘আজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা হয়েছে। সভায় পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাবি বাস্তবায়িত না হলে শিক্ষকেরা সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকবেন।’
দাবির মধ্যে রয়েছে—আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংস ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। সাত দিনের মধ্যে এই দাবি আদায় না হলে শিক্ষকেরা একাডেমিক ও সব প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কুয়েটের শিক্ষকদের নিয়ে সাইবার বুলিং, অবমাননা ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে দাবি করা পাঁচ দফা দাবির যেগুলোর সঙ্গে শিক্ষকেরা শুরু থেকে একমত ছিলেন, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়েটবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত সব পেজ ও ব্যক্তিকে শনাক্ত করে অবিলম্বে সেগুলো বন্ধসহ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বহিরাগতদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে কুয়েটে অচলাবস্থার সৃষ্টি। এরপর শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন ও আমরণ অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। ১ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
Discussion about this post