শিক্ষার আলো ডেস্ক
দীর্ঘ আট বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঈদুল আজহার ছুটি শেষে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় এবং পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
গত শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলা শহরে ৮৭৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঈদের পরে প্রকাশ করা হবে। রবিবার (১লা মে) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হয়ে গেছে।এ ছাড়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লাখের বেশি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ঈদের পরে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ায় হয়েছে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে। ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রের জন্য সময় ছিল ১ ঘণ্টা। এবার পাস নম্বর ৩৫। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে ১ নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থী। ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন-সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের ১ম বর্ষের ক্লাস শুরুর তারিখ প্রকাশ
ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) কোর্স রয়েছে দেশের ৮৮১টি কলেজে। এরমধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি ৬১৭টি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল চার লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রিতে (পাস কোর্স) প্রথমার্ধে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। দেশের এক হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে পড়ানো হয়। প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এরমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা তিনটি, আদিবাসী একটি, প্রতিবন্ধী একটি, পোষ্য কোটা তিনটি।
Discussion about this post