মুহতারিমা রহমান
শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা বিকাশে উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি তাদের পছন্দের বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোড সেন্টারে ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য ইয়াং লার্নার আর্ট কম্পিটিশনের আয়োজন করে।
ইংরেজি ভাষার দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা বিকাশে ও তারা বিভিন্ন মাধ্যমে কীভাবে তাদের
ধারণা বা অনুভূতি প্রকাশ করবে, তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে পাঠদান করেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের শিক্ষকেরা।
শিশুদের চোখে বৈচিত্র্য, সংস্কৃতি ও ভিন্নতার সৌন্দর্যে গুরুত্বারোপ করে এবারের প্রতিযোগিতায় প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘কালারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড।’ প্রতিযোগিতা চারটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়: লোয়ার প্রাইমারি (৮ বছর বা তার কম বয়স), আপার প্রাইমারি (৯-১১ বছর), সেকেন্ডারি (১২-১৫ বছর) এবং আপার সেকেন্ডারি (১৬ বছর বা তদুর্ধ্ব)। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সৃষ্টিশীলতার সাথে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের কাজেও বৈচিত্র্যের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। শিল্পপ্রেমীদের জন্য সপ্তাহব্যাপী এক প্রদর্শনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের শিল্পকর্মগুলো প্রদর্শন করা হয়।
ইয়াং লার্নার আর্ট এক্সিবিশন শীর্ষক এ প্রদর্শনীতে আসেন বাবা-মা, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কর্মকর্তারা। প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিচারক প্যানেল।
গত শুক্রবার (০১ আগস্ট) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ী ও রানারআপদের সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস।
তিনি বলেন, “‘কালারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় শিশুদের মধ্যে যে কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা আমরা দেখতে পেয়েছি, তা সত্যিই অভিভূত করার মত। শিশুদের জন্য আর্ট কম্পিটিশন আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। ব্রিটিশ কাউন্সিলে আমরা একটি আনন্দদায়ক শেখার পরিবেশ তৈরি করি, যেন শিশুরা আত্মবিশ্বাসী ও হাসিখুশি ভাবে বেড়ে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারে।”
তিনি এ সময় ব্রিটিশ কাউন্সিলের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতৃত্বদের অনুপ্রাণিত করেন। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের মা-বাবা ও অভিভাবকদের সাথেও মতবিনিময় করেন তিনি। যেসব শিক্ষার্থী চিত্রকর্ম জমা দিয়েছে, সবাইকে সনদ প্রদান করা হয় এবং প্রতিটি বিভাগের বিজয়ী ও রানারআপদের বিশেষ সনদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পর্যায়ে বিজয়ী শিল্পকর্মগুলো অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠাতব্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের রিজিওনাল কম্পিটিশনে পাঠানো হবে।
আর্ট কম্পিটিশন আয়োজনসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষের নির্দিষ্ট কার্যক্রমের বাইরেও শিশু ও কিশোরদের জন্য ইংরেজি শেখাকে আনন্দদায়ক ও অনুপ্রেরণাদায়ক করার লক্ষ্য কাজ করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। কেমব্রিজ সার্টিফায়েড শিক্ষকরা অভিভাবকদের সঙ্গে একত্রে কাজ করেন যাতে শিশু প্রতিটি ধাপে উপযুক্ত সহায়তা পায়। শিশুবান্ধব শ্রেণিকক্ষ, ব্যক্তিগত মনোযোগ এবং অনলাইন লার্নিং হাবের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে, সৃজনশীলতা বিকাশ ঘটায় এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে।
যুক্তরাজ্য ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, বোঝাপড়া ও আস্থার সেতুবন্ধন তৈরি করে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেব্রিটিশ কাউন্সিল। গত ৯০ বছর ধরে ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি ভাষা ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সব বয়সী শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা এবং ব্যক্তিগত, পেশাগত ও অ্যাকাডেমিক দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে সংস্থাটি।
শিশু ও কিশোরদের জীবনের সকল পর্যায়ে জন্য ইংরেজি কোর্সগুলোতে সৃজনশীলতা, যোগাযোগ দক্ষতা এবং সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। অভিভাবকেরা সহজেই তাদের সন্তানের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, সাফল্য উদযাপন করতে পারেন এবং সন্তানের ইংরেজি শেখার সাফল্য উদযাপন করতে পারেন।
আগ্রহী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আরও তথ্য জানতে এ নম্বরে +৮৮ ০৯৬৬৬ ৭৭৩৩৭৭ ফোন করে বিনামূল্যে পরামর্শ নিতে পারেন, অথবা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন: https://www.britishcouncil.org.bd/en/english-courses/kids-teens
Discussion about this post