শিক্ষার আলো ডেস্ক
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের ফল আগামী রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত দিনে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন। এছাড়া মোবাইল ফোনের এসএমএসে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ফলাফল পাঠানো হবে। শুধুমাত্র যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা এসএমএস পাবেন।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশের নিয়ম রয়েছে। ওই হিসেবে ৯ আগস্টের মধ্যে ফল প্রকাশের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট ফল প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
গত ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরদিন ১১ জুলাই থেকে ফল পুনঃর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়। যা চলে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আবেদন ফি ছিল ১৫০ টাকা।
সোয়া ২ লাখ আবেদন
এ বছর ফলাফল খারাপ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিগত ১৬ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম। এর প্রভাব পড়েছে এসএসসির ফল পুনঃর্নিরীক্ষণের আবেদনে। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী পুনঃর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। অনেকে দুই বা তার বেশি বিষয়ের খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন।
ঢাকা বোর্ডের তথ্যমতে, এবার বোর্ডটিতে ফল পুনঃর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের কেউ এক বিষয়ে, কেউ দুই বা ততোধিক বিষয়ে আবেদন করেছেন। মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন-বাউবি ‘র এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা আগামী ৯ আগস্ট
গত বছর ঢাকা বোর্ডে এসএসসির ফল পুনঃর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছিলেন ৭১ হাজার ৩৪ জন। সেই হিসাবে এবার ২১ হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থী বেশি আবেদন করেছেন। খাতা চ্যালেঞ্জের সংখ্যাও গত বছরের চেয়ে এবার ৪০ হাজার ১২১টি বেড়েছে।
কোন বিষয়ে কত আবেদন পড়লো-
এ বছর দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা গণিতে খারাপ ফল করেছে। এ বিষয়ে ফেলের হারও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা বোর্ডেও গণিতে বেশি ফল পুনঃর্নিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়েছে। এ বোর্ডে শুধু গণিতের খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়েছে ৪২ হাজার ৯৩৬টি।
এছাড়া ইংরেজি খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়েছে ১৯ হাজার ৬৮৮টি, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি, বাংলায় ১৩ হাজার ৫৫৮টি। অন্যান্য বিষয়গুলোতেও অনেকে আবেদন করেছেন।
ফল পুনঃর্নিরীক্ষণে যা করা হয়-
অনেকের ধারণা ফল পুনঃর্নিরীক্ষণে পুনরায় কোনো পরীক্ষক খাতা দেখেন এবং নম্বর দেন। এটি সঠিক নয়। পুনঃর্নিরীক্ষণে একজন শিক্ষার্থীর খাতা আবার মূল্যায়ন করা হয় না।
ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা শিক্ষার্থীর উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়।
সেগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে ওঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এ চার জায়গায় কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।
Discussion about this post