শিক্ষার আলো ডেস্ক
তিন দাবিতে দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পরীক্ষাও।
বুধবার (২৭ আগস্ট) শাহবাগ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। রাজশাহী, খুলনা এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারসহ তাদের সব দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা বেলা দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তখন লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন।
পুলিশের লাঠিপেটার পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আবারও শাহবাগে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ১০টার পর তারা শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—
১. নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হতে হবে;
২. দশম গ্রেডে বর্তমানে শুধু ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন, সেখানে উচ্চ ডিগ্রিধারীদের আবেদন করার সুযোগ রাখতে হবে;
৩. শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্নকারীরাই যেন ‘প্রকৌশলী’ বা ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারেন, সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
Discussion about this post