শিক্ষার আলো ডেস্ক
ডাকসু নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে দারুণ চমক দেখিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমর্থিত প্যানেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্যানেলটি। ডাকসুতে নির্বাচিত হলে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা, প্রতিপক্ষের সঙ্গে আচরণে গণতান্ত্রিক মনোভাবের প্রতিফলন ঘটানোসহ আট বিষয়ে শপথ নেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলা ভবনের সামনের বটতলায় প্রার্থীরা এই শপথ নেন। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম শপথবাক্য পাঠ করান।
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শপথ অনুষ্ঠান। এ সময় ডাকসু ও বিভিন্ন হল সংসদে ছাত্রদলের পূর্ণ প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য গণরুম সংস্কৃতি, গেস্টরুম নির্যাতন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করা এবং ভিন্নমতের ওপর নিপীড়ন ফিরে আসতে না দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়।
আরও পড়ুন-আমি মনে করি, মেয়েরাই এবার ডাকসুতে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার বড় ফ্যাক্টর : উমামা
দ্বিতীয় অঙ্গীকারে দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলা হয়। উল্লেখ করা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের রক্তঝরা দিনগুলোতে যেভাবে আমরা বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম এবং আমাদের অগ্রজেরা যেভাবে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বা জনগণের মুক্তির পথে যেকোনো কালো শক্তির বাধা প্রতিহত করতে আমরা দৃঢ় থাকব।
অন্যান্য অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে- ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, সম-অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করা; সব শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হলে বৈধ আসন, সাশ্রয়ী মূল্যে পুষ্টিকর খাবার, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা, কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সহজলভ্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।
সাইবার বুলিং, গুজব, অপতথ্য ও ভুয়া সংবাদের মতো অনলাইন হুমকি থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং শিক্ষা, গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক পরিবেশের মানোন্নয়ন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রসার এবং ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার কথাও বলা হয়েছে অঙ্গীকারে।
Discussion about this post