শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা। এবার তিনি অভিনব পন্থায় কারচুপি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তার ভাষায়, ‘কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো। তিনি বলেন, অভিনব পন্থায় নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো রাত হয়ে থাকবে। নিজেদের হীনস্বার্থের জন্য ইসলামি ছাত্রশিবির কি পরিমাণ বেঈমানি করেছে জাতির সাথে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা
থাকবে।’
এর আগে তিনি রাত সাড়ে ৩টার দিকে আরও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন, দিয়েছিলেন বয়কটের ঘোষণাও। তিনি বলেন, ‘বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রের বাইরে কাকে ভোট দিতে হবে তাদের নাম লিখে একটা তালিকা ভোটারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই তালিকাটা শিবিরের প্রার্থীর। শুধু তাই নয় শিবিরের স্বতন্ত্র নামে প্রার্থী তালিকাও তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুনঃ আমি মনে করি, মেয়েরাই এবার ডাকসুতে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার বড় ফ্যাক্টর : উমামা
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এর আগে দিনের বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম, জালিয়াতি এবং কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতে থাকার মধ্যে আবিদুল ইসলাম খানের এই ঘোষণা এলো।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও দলীয় আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র ভিপি পদপ্রার্থী তাহমিনা আক্তার।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টিএসসিতে সাংবাদিকদের সামনে এই ঘোষণা দেন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের এই প্রার্থী।
Discussion about this post