শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট।
শিক্ষক নেতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, আজ আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। এরপরও পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করে।
কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, আমরা ভেবেছিলাম শিক্ষা উপদেষ্টা অন্তত সৌজন্যমূলক আচরণ করবেন। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা না করে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষক সমাজের প্রতি অবমাননা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক সমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।
এর আগে, আজ দুপুরে শিক্ষকদের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাক্ষাৎ না পেয়ে ফিরে আসেন এবং পুনরায় আন্দোলনে যোগ দেন।
শিক্ষকরা দাবি জানিয়েছেন চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারির জাতীয়করণের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরিত ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— অনুদানহীন স্বীকৃত ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোর এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, দেশের হাজারো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকরা মাসের পর মাস বিনা বেতনে কাজ করছেন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান থেকে তারা সামান্য সম্মানী পেলেও তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও প্রাথমিক পর্যায়ে ইসলামী শিক্ষা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও সরকারের অবহেলায় এই শিক্ষকরা বারবার বঞ্চিত হচ্ছেন।
Discussion about this post