শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের অতীতের সব ফান্ডের হিসাব প্রকাশ, বাজেট স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের দাবিতে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ঘেরাও করেছেন ডাকসু নেতারা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের ও সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদের নেতৃত্বে এই ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়।
তিন দফা দাবি হলো—
১. হল সংসদ ও ডাকসুর অতীতের সব ফান্ডের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রকাশ করে বাজেট স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন ।
২. নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে ক্যাম্পাস থেকে টোকাই, ভবঘুরে ও মাদকচক্র নির্মূল করতে হবে এবং এদের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা।
৩. ৩ আগস্ট, ২০২৪ খুনী হাসিনার পক্ষে মিছিলে নেতৃত্বদানকারী ট্রেজারার অফিসে কর্মরত ডেপুটি রেজিস্ট্রার রুহুল আমিনসহ সব ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ করে বিচারের মুখোমুখি করা।
রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ঘেরাও কর্মসূচির একপর্যায়ে তারা এ তিন দাবি নিয়ে ট্রেজারার অফিসে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় ঢাবি ট্রেজারার ও প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা চলে। এ সময় ডাকসু নেতারা আজকের মধ্যে ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার রুহুল আমিনকে পুলিশে সোপর্দ করার দাবি জানান।
আরও পড়ুনঃ ঢাবি ক্যাম্পাসে উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে মিছিলকারী শিক্ষার্থীকে শোকজের সিদ্ধান্ত
এবি জুবায়ের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ক্যাম্পাসকে টোকাই ও মাদক চক্রমুক্ত করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগী ডেপুটি রেজিস্ট্রার রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত আমরা এ জায়গা ত্যাগ করব না। আমরা জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সেফ এক্সিট দিয়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।
এর আগে, ছয় বছর ধরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত হল সংসদ ফি’র টাকা হল সংসদের অ্যাকাউন্টে ফেরত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে কবি জসীম উদ্দীন হল সংসদ।
















Discussion about this post