শিক্ষার আলো ডেস্ক     
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়(বেরোবি) প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ গঠনের বিধিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) এ বিধিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নাইমা স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়— ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদগুলোর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, ২০২৫’ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক সদয় অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়েছে।
বিধিমালা অনুযায়ী, বেরোবি কেন্দ্রীয় সংসদের মোট ১৫ টি পদ থাকবে এরমধ্যে ১৩টি পদে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন এবং বাকি দুই পদে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য থাকবেন সংসদের সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ থাকবেন কোষাধ্যক্ষ পদে।
প্রজ্ঞাপনে অনুমোদিত যে ১৩ টি পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পদগুলো হলো: সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র বিষয়ক সম্পাদক, বিজ্ঞান,প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, ক্যারিয়ার ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, ক্রীড়া ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক, পরিবহণ সম্পাদক, প্রকাশনা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং ৩ জন নির্বাহী সদস্য।
বিধিমালা অনুযায়ী হল সংসদে পদাধিকার বলে সংশ্লিষ্ট হল শিক্ষার্থী সংসদের সভাপতি হবেন হল প্রভোস্ট। সহকারি প্রভোস্টদের মধ্যে থেকে হল সংসদের সভাপতি একজনকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেবেন। বাকি ৯ পদে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
হল সংসদের যে ৯ পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য,পরিবেশ ও পাঠকক্ষ সম্পাদক, ক্রীড়া ও সমাজসেবা সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী সদস্য ৩ জন।
শিক্ষার্থীদের দাবি নভেম্বরের মধ্যেই যেন নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুললে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদ নীতিমালা না থাকায় আইন প্রণয়ন, রোডম্যাপ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন, সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।পরে টানা তিন দিনের অনশনের পর ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে ১০ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন ভাঙেন তারা।
 
                                
	                            
                                                             
                            
                                                    
Discussion about this post