করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বাইরে বের হওয়া বিপদ জনক। সাধারণ রোগের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়াও এখন ঝুঁকির। এসব কথা বিবেচনা করে অতি শিগগিরই টেলিমেডিসিন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ।
এর মাধ্যমে সবাই ঘরে বসেই চিকিৎসা সেবা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এতে সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়াও ভাইরাস সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং দেশে চলমান সংকট মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক চাহিদা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘরে বসে সহজে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ টেলিমেডিসিন কার্যক্রম অতি শিগগিরই শুরু করবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দুই এক দিনের মধ্যেই সকলকে জানানো হবে।
এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে জনমনে ফেস মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে লক্ষণীয় বিভ্রান্তি নিরসনের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয় এবং দুটি পরামর্শ দেওয়া হয়। সেগুলো হল- যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন, অথবা কোনো উপসর্গ নেই তাদের সার্জিক্যাল অথবা মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তারা ঘরে দেশীয় পদ্ধতিতে কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করবেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবপ্রদান করছেন, অথবা যাদের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে, অথবা যারা হাসপাতাল বা ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করছেন তারা মেডিক্যাল/সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করবেন।
উপাচার্য ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এম এ মালেক, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী উপস্থিত ছিলেন।













Discussion about this post