শিক্ষার আলো ডেস্ক
রোববার (১১ মে) বিশ্ব মা দিবস। ভ্রুণ থেকে দশটি মাস গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, সেই মায়ের সম্মানে তারই চরণে আজকের এ দিনে নত তাবৎ পৃথিবীর সন্তানেরা।
মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। তবুও আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।
মায়ের অসীম ভালোবাসা, স্নেহ ও স্পর্শেই সন্তান ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে। সন্তান যাতে ভালোভাবে বড় হতে পারে, মানুষের মতো মানুষ হতে পারে এ ধ্যানে ‘মা’ সবসময়ই মগ্ন থাকেন।
মাকে ভালোবাসার জন্য আলাদা করে কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না। তবুও বিশ্বব্যাপী মায়ের জন্য রাখা হয়েছে একটি বিশেষ দিন, যেন এই দিনটিতে সকলে মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারে।
তাইতো মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে কবি কাজী কাদের নেওয়াজ বলেছেন, ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই, তার চেয়ে অধিক মধুর ত্রিভুবনে নাই।’
পৃথিবীর সকল যুগের সকল ধর্মে মা সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।
মা দিবসের মূল বার্তা হলো মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, ত্যাগ ও স্নেহের প্রতি সম্মান জানানো। এই দিনে আমরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিকে মনে করি, যিনি আমাদের প্রথম শিক্ষক, অভিভাবক ও বন্ধু।
তাই বিশ্ব মা দিবসে পৃথিবীর সব মায়েরাই যেন সুখী থাকেন, সন্তান হিসেবে এই যেন হয় আমাদের সবার প্রত্যাশা।
সন্তানরা মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানাতে কেউ ফুলসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে মাকে শুভেচ্ছা জানাবেন। তবে মা দিবস শুধু একটি নির্দিষ্ট দিনেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন মা যেভাবে তার সন্তানকে যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তোলেন, সে ঋণ কোনো দিনই শোধ করা যাবে না। এজন্য মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন শুধু একটি দিবসের মধ্যে না রেখে মাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসাই সন্তানদের দায়িত্ব।
Discussion about this post