শিক্ষার আলো ডেস্ক
উচ্চ শিক্ষায় বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর দিলো অন্তর্বর্তী সরকার। শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল সিস্টেম চালু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ অনলাইন সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল সিস্টেম চালু করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন পাবলিক ডকুমেন্ট যাচাইয়ের জন্য অ্যাপোস্টিল সনদ দেবে।
এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা অনলাইনে নিজেদের শিক্ষাগত সনদ ডিজিটালি যাচাই করাতে পারবে। এতে শিক্ষার্থী এবং নাগরিকরা তাদের শিক্ষাগত কাগজপত্র ডিজিটালি যাচাই করতে পারবেন, যার ফলে দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার দরকার হবে না, সময় বাঁচবে, খরচ কমবে, জালিয়াতি রোধ হবে এবং এসব সনদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
অ্যাপোস্টিল সিস্টেমের মাধ্যমে দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে শারীরিকভাবে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না, ফলে সময় ও শ্রম বাঁচবে। ম্যানুয়াল সত্যায়ন ও যাচাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ফি কমে যাবে। ডিজিটাল যাচাইয়ের মাধ্যমে জাল সনদ ও প্রতারণা কমবে। সামগ্রিকভাবে বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি ও অভিবাসনের জন্য যাচাই প্রক্রিয়া সহজ হবে।
আরও পড়ুন-২০২৬ সালের এইচএসসি পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, পরীক্ষা মে-জুনে
এই ডিজিটাল সিস্টেম ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ কাগজপত্রের প্রক্রিয়া দূর করে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করতে সাহায্য করবে, যা বৈশ্বিক সুযোগ পেতে সহায়ক হবে। এতে জাল সনদ রোধ হবে এবং পুরো প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা বাড়বে, তরুণদের স্বপ্নপূরণের পথে এটি সহায়ক হবে।
প্রেস উইংয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরো জানা যায়, আগে বিদেশে পড়াশোনা বা কাজের জন্য শিক্ষাগত সার্টিফিকেট যাচাই করা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং জটিল প্রক্রিয়া ছিল। এতে দূতাবাস ও বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার যেতে হতো, যা অনেকের জন্য চাপ, বিলম্ব এবং অতিরিক্ত খরচের কারণ হতো।
এছাড়াও যদি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষা ও চাকরির জন্য সব সার্টিফিকেট অনলাইনে যাচাই করা যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
Discussion about this post