শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশের কারিগরি শিক্ষায় প্রথমবার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হতে যাচ্ছে জুনিয়র বৃত্তি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য এ বৃত্তি কার্যক্রম শুরু করতে ইতোমধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কারিগরি বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বৃত্তি পরীক্ষার কাঠামো, বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন, বৃত্তির সংখ্যা ও পরিমাণসহ যাবতীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে একটি প্রস্তাবিত নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এই বৃত্তির অর্থ সরকার থেকে সরবরাহ করা হবে এবং মেধার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এই সুবিধার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের।
মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের মিটিংয়ে নীতিমালা অনুমোদন পেলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই জুনিয়র বৃত্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
জানা যায়, বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৫৬টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ৬৫৪টি বেসরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে দাখিল ভোকেশনালসহ বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেধাবীদের মূল্যায়নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মেধার ভিত্তিতে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দেওয়া হবে।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, কারিগরি শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতামূলক করতে এ ধরনের বৃত্তি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, মাধ্যমিক স্তরে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা গেলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার পথ আরও সুগম হবে। জুনিয়র বৃত্তি চালুর ফলে শিক্ষার্থীরা আরও পড়ালেখায় আগ্রহী হবে, পাশাপাশি ঝরে পড়ার হারও কমবে। এ ছাড়া অভিভাবকদের মধ্যেও সন্তানকে কারিগরি শিক্ষায় পাঠানোর আগ্রহ বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল কবীর বলেন, ‘জুনিয়র বৃত্তি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা একটি নীতিমালা প্রনয়ণ করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। এটিসহ আরও কয়েকটি ইস্যুতে আজ মিটিং রয়েছে শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে। মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
Discussion about this post