শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসনবিরোধী ৮ স্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ৮ স্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়।
শহীদ আবরারের স্মৃতি ও আগ্রাসনবিরোধী চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখতে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ ও পলাশী ইন্টারসেকশন উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছে। আগ্রাসনবিরোধী ৮ স্তম্ভের আটটি স্তম্ভ সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি-নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা এই আটটি বিষয়কে নির্দেশ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘২০২০ সালে প্রথম ৮ স্তম্ভ নির্মাণ করা হয় পলাশীর মোড়ে, যেখানে আজকের আট স্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে। আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটা ভেঙে ফেলা হয়। ভেঙে ফেলা হলেও আবরার ফাহাদের স্মরণে আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে, মনে ছিল। বিগত ছয় বছর সেই আট স্তম্ভকে আবারো আমরা সেই একই জায়গায় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছি এবং সেটি আজকে উদ্বোধন হওয়ার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে।
ফ্যাসিবাদের সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার বিভিন্ন ভাস্কর্য-প্রকল্প নির্মিত হলেও বর্তমান সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির পক্ষে কিছু করলেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা জানান, আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণে মাত্র ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মের এই সময়টিই একটি শক্তির উৎসব। আমরা এক লড়াই জিতেছি, কিন্তু সামনের কয়েক দশকেও আমাদের লড়াই চলবে। এখানে সবাই রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলে, কিন্তু সমাজ গঠনের কথা খুব কমই বলে।
আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভের ভাস্কর নাজমুল হক নাইম বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি যেন আবরার ফাহাদকে এই পলাশীর মোড়ে আমি জাগ্রত রাখতে পারি। আমরা চলে যাব কিন্তু এই স্মৃতিস্তম্ভ থাকবে আবরার ফাহাদ থাকবে, আবরারের স্মৃতি থাকবে। আবরার যে আলো জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন সে আলো এখানে জ্বলবে এবং আবরার ফাহাদের এই স্মৃতিকে নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ও ভাই আবরার ফাইয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ফাইয়াজ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আট স্তম্ভ নির্মাণে দুই ব্যক্তির অবদান উল্লেখ করেন।
ফাইয়াজ স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণের পেছনে ২ জন মানুষের ভূমিকা আলাদাভাবে আমাদের জানা প্রয়োজন।’ আবরার ফাইয়াজ প্রথমে তুলে ধরেন বুয়েট অ্যালামনাই এবং ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার শিক্ষক নাজমুল হক নাইমের অবদানকে।
দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম হিসেবে আবরার ফাইয়াজ উল্লেখ করেছেন ডিএসসিসির ইঞ্জিনিয়ার রুয়েট ০৬ ব্যাচের মিথুন চন্দ্র শীল দ ও তার টিমকে,
Discussion about this post