অনলাইন ডেস্ক
সাধারণ মানুষের আইকিউ যেখানে ৯০-১১০ এর মধ্যে থাকে, সেখানে কিমের আইকিউ ২১০! গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে “সর্বোচ্চ আইকিউ” এর অধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই অবিশ্বাস্য বুদ্ধিমত্তা তাকে সাধারণের থেকে অসাধারণ করে তুলেছে।
কিম উং-ইয়ং একজন দক্ষিণ কোরিয়ার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি একজন বিখ্যাত শিশু প্রতিভা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যার স্ট্যানফোর্ড-বিনেট ইন্টেলিজেন্স স্কেলে ২১০ এর উপরে আইকিউ ছিল।
কিম উং-ইয়ং ১৯৬২ সালের ৮ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুব অল্প বয়সেই অসাধারণ মেধার পরিচয় দেন। ১ বছর বয়সে তিনি জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারতেন এবং ৩ বছর বয়সে তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাস করতেন।
বিভিন্ন সূত্রমতে, তিনি ৪ বছর বয়সে জাপানি, কোরিয়ান, জার্মান এবং ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তিনি ৭ বছর বয়সে নাসাতে কাজ করার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে, তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় কাটিয়েছেন এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি চংবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন।
পরবর্তীতে, তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় কাটিয়েছেন এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি চংবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন।
বয়স যখন মাত্র ২ বছর: যে বয়সে শিশুরা কেবল ‘মা-বাবা’ বলতে শেখে, সেই বয়সে ছোট্ট কিম “কোরিয়ান, জাপানিজ, ইংরেজি এবং জার্মান—এই চারটি ভাষায়” অনর্গল কথা বলতে পারতো! ভাবা যায়?
গণিতের জাদুকর বললে ভুল হবে না : মাত্র ৩ বছর বয়সেই তিনি সমাধান করতেন জটিল ক্যালকুলাসের সমস্যা, যা কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেও রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়।
মাত্র ৪ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ: যখন তার বয়সী শিশুরা কিন্ডারগার্টেনে যাওয়া শুরু করে, কিম তখন Hanyang বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ক্লাস করতেন। তার মেধা দেখে শিক্ষকরা পর্যন্ত অবাক হয়ে যেতেন।
নাসার থেকে আমন্ত্রণ: তার অবিশ্বাস্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে মাত্র ৭ বছর বয়সে বিশ্বের সেরা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র “নাসা (NASA)” তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে তিনি আমেরিকার সেরা বিজ্ঞানীদের সাথে কাজ করার সুযোগ পান। মাত্র ১৫ বছর বয়সের আগেই তিনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন!
কিন্তু এরপর? যেখানে সবাই ভেবেছিল কিম হয়তো বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হবেন, সেখানে তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক ভিন্ন পথ বেছে নেন। নাসার চাকচিক্যময় জীবন ছেড়ে তিনি ফিরে আসেন নিজ দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং একজন সাধারণ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
অনেকে তাকে “ব্যর্থ প্রতিভা” বললেও কিম বলেন, “আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুখী সময় কাটিয়েছি সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে।” তার কাছে খ্যাতির চেয়ে সাধারণ জীবনের সুখই ছিল বড়।
কিম উং-ইয়ং-এর জীবন আমাদের শুধু অবাকই করে না, ভাবায়ও। মেধা এবং খ্যাতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেও একজন মানুষ কীভাবে সাধারণ জীবনকে বেছে নিতে পারে, তা এক বড় প্রশ্ন। তার গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের আসল সফলতা হয়তো খ্যাতির মধ্যে নয়, নিজের পছন্দের জীবনযাপনের মধ্যেই নিহিত।
অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique
তথ্যসূত্র:
১. Guinness World Records
২.. Wikipedia: Kim Ung-yong
৩.. Various international news articles and interviews.
Discussion about this post