ফাহিমা তুজ জোহরা
বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স তাদের সর্বশেষ ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন হট সিরিজের হট ৬০ প্রো এর মাধ্যমে নতুন এক ইতিহাস রচনা করেছে। এই স্মার্টফোনটিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ৩ডি–কার্ভড ডিসপ্লে–এর ফোন হিসেবে, যার পুরুত্ব মাত্র ৫.৯৫ মিলিমিটার।
এই রেকর্ড অর্জনের মাধ্যমে ইনফিনিক্স আবারও প্রমাণ করলো যে, আধুনিক প্রযুক্তি শুধু শক্তিশালী ও টেকসই হওয়াই নয়, বরং এটি হতে পারে আভিজাত্যপূর্ণ ও ব্যক্তিগত রুচির সঙ্গে মানানসই।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এই অর্জন উদ্যাপন করছে কেবল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নয়, বরং সেই প্রজন্মের মনোভাবকেও—যারা কখনো থেমে থাকতে চায় না, সবসময় খুঁজে ফেরে নতুন সম্ভাবনা।
এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে ইনফিনিক্স সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি, আভিজাত্য ও শক্তির সমন্বয়ে নতুন কিছু উপহার দিতে। পাতলা অথচ টেকসই নকশায় তৈরি হট ৬০ প্রো প্লাস স্মার্টফোন প্রকৌশলে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে এসেছে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা, স্বাচ্ছন্দ্য আর ভবিষ্যত-উপযোগী নকশা।
রেকর্ড গড়া নকশার পাশাপাশি হট ৬০ প্রো প্লাস এসেছে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য নিয়ে। এর মূল শক্তি জি২০০ প্রসেসর, যা নিশ্চিত করে স্মুথ পারফরম্যান্স, যেমন- একসঙ্গে একাধিক কাজ করা, খেলাধুলার অভিজ্ঞতা কিংবা প্রতিদিনের ব্যবহার সবকিছুতেই।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, যা জীবনের সূক্ষ্ম মুহূর্তগুলোকেও স্পষ্টভাবে ধারণ করতে পারে। এর সঙ্গে রয়েছে উজ্জ্বল অ্যামোলেড পর্দা, যেখানে ছবি, ভিডিও ও খেলা দেখা যায় প্রাণবন্ত রঙ ও দৃষ্টিনন্দন বৈপরীত্যে। দ্রুত চার্জিং সুবিধা থাকায় ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ সময় চার্জ দেওয়ার ঝামেলা ছাড়াই সবসময় সংযুক্ত থাকতে পারবেন।
স্মার্টফোনটিতে স্থায়িত্বকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাতলা নকশা সত্ত্বেও এতে রয়েছে মজবুত কাঠামো, যা প্রতিদিনের ব্যবহারে শক্তি ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে। দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত আছে সারারাত চার্জ দেওয়ার সময় বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা, ফলে ব্যবহারকারীরা সবসময় পান প্রয়োজনীয় শক্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
হট ৬০ প্রো প্লাসের মাধ্যমে ইনফিনিক্স উপহার দিয়েছে এমন একটি স্মার্টফোন, যেখানে একসঙ্গে রয়েছে আভিজাত্য, শক্তিশালী কর্মক্ষমতা এবং স্থায়িত্ব। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এই স্বীকৃতি এটিকে আরও প্রমাণ করেছে এ বছরের অন্যতম উদ্ভাবনী ও স্টাইলিশ স্মার্টফোন হিসেবে। প্রযুক্তির সীমা ছাড়িয়ে এটি ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এই অর্জন প্রমাণ করেছে যে, ইনফিনিক্স টিমের দৃষ্টি, সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বেশ উচ্চমানের। এটি শুধু ব্র্যান্ডের জন্য গর্বের নয়, বরং সেই সকল তরুণ উদ্ভাবকের জন্যও, যারা সাহস করে বড় স্বপ্ন দেখে।
Discussion about this post