অনলাইন ডেস্ক
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশিরভাগ মানুষই এখন ঘরবন্দী অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন। কর্মব্যস্ত অনেক মানুষেরই এখন সময় কাটছে টিভি দেখে, না হয় ঘরের কাজকর্ম করে। তারপরও সময় যেন শেষ হতে চায় না। প্রথম কিছু দিন হঠাৎ বাড়িতে থাকার বিষয়টা ভালো লাগলেও দীর্ঘ দিন এ অবস্থায় থাকায় অনেকেরই মনের ওপর চাপ বাড়ছে। এছাড়া প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগ। ধীরে ধীরে তা অবসাদেও পরিণত হচ্ছে কারও কারও ক্ষেত্রে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা বাড়িতে সময় দিতে পারেন না, তারা এই সময়টাকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে পরিস্থিতিকে মেনে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত অবসাদ বা দুশ্চিন্তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে করোনা সহজেই আপনাকে পেয়ে বসতে পারে। এ কারণে মনোবিজ্ঞানীরা করোনা আতঙ্কের এই সময় মন ভালো রাখতে কিছু বিষয় অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন-
১. সারাদিন অলসভাবে সময় কাটালে মনে চাপ পড়ে। তাই সকালে উঠে সুযোগ থাকলে ছাদে বা বারান্দায় গিয়ে ১০–১৫ মিনিট হাঁটুন। গাছ থাকলে সেগুলির পরিচর্যা করুন। প্রকৃতিকে অনুভব করার চেষ্টা করুন।
২. সবাই মিলে এক সঙ্গে বাড়ির কাজ করার চেষ্টা করুন। শিশুদেরও তাদের সাধ্য অনুযায়ী কিছু কাজের দায়িত্ব দিন।
৩. যেই কাজই করুন না কেন তা ভালোবেসে করার চেষ্টা করুন। কারণ বিরক্তি নিয়ে কাজ করলে কাজ আর মন দুই-ই খারাপ হবে।
৪. অনেকের বাবা-মা কাছে না থাকায় দুশ্চিন্তা করছেন। কিন্তু চিন্তা করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই নিয়ম করে দু’বেলা বাবা-মা বা স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন।
৫. ব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকেই পুরনো বন্ধুবান্ধব বা স্বজনদের সঙ্গে একদম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। লকডাউনের এই সময়ে তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগটা বাড়িয়ে দিন।
৬. শিশুদের আঁকা, গান শেখানোর পাশাপাশি ক্লাসিক বই পড়ে শোনান। ওদেরও গল্প বলতে বলুন।
৭. নিজেদের কোনও ভুলে যাওয়া শখ, যেমন: বই পড়া, গান গাওয়া বা গল্প-কবিতা লেখার অভ্যাসটা আবার চালু করতে পারেন।
৮. টিভিতে সারাদিন খবর না দেখে বেড়ানোর বা বিনোদনমুলক কোনো চ্যানেল দেখুন। তবে দিনের মধ্যে স্ক্রিন টাইমটা যেন দু’-তিন ঘণ্টার বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৯. ইউটিউব দেখে নতুন নতুন রান্নার চেষ্টা করতে পারেন।
১০. কোভিড-১৯ নিয়ে সচেতন থাকা ভালো, কিন্তু সারাদিন পৃথিবীর কোথায় কত জন মারা যাচ্ছেন সেই পরিসংখ্যান নিয়ে ব্যস্ত হবেন না। এতে আতঙ্কই শুধু বাড়বে।
Discussion about this post