নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভািইরাসের করুন ছোবলে পুরোদেশ দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের ফলে অনেকেই হারিয়েছেন তাদের রুটি-রুজির পন্থা এবং হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। এর মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছে স্বল্প আয়ের লোকগুলো, তারা না পারে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্য নিতে, না পারে মুখফুটে তাদের দুরবস্থার কথা বলতে। এ পরিস্থিস্তিতে উপলব্ধি করে এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান এক ঝাঁক তরুণ। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশন এবং ক্রাইসিস কেয়ার বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে নিম্ন মধ্যবিত্তদের আর্থিক এবং খাবারের সঙ্কট মোকাবেলায় নেয়া প্রকল্প ‘করোনা ক্রাইসিস কেয়ার’।
এই প্রকল্পের আওতায় করোননাকালীন সময়ে সিলেট মৌলবীবাজার, কুমিল্লা জেলা, সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৩০০ এর অধিক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ এবং খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রকল্পের আহবায়ক এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি)-এর সহ-প্রধান গবেষক জহির উদ্দিন বলেন, লকডাউন শুরুতেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বিভিন্ন কারণে আর্থিক এবং খাবারের সঙ্কটে পরতে যাচ্ছে। এই চিন্তা-ভাবনা থেকেই তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ, আশা করছি আমরা আরও বেশি মানুষকে সহযোগিতা করতে সক্ষম হব।
রাতের আঁধারে সহযোগিতার ব্যাপারে ইচ্ছেঘুড়ি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এম. এ. হাসান বলেন, জনসমাগম এড়ানোর জন্য এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে হাত পেতে নিতে লজ্জাবোধ করেন; এজন্য রাতের আধারে আমরা তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি।
ক্রাইসিস কেয়ার বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইশ্মাম বলেন, দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব; এই কাজ করতে গিয়ে যে যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ এবং আশা করছি এই দুর্যোগের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষকে সহযোগিতা করতে পারব।
সরকারের পাশাপাশি এই এক ঝাঁক তরুণের মত আমরা সকলে এগিয়ে আসলে করোনার ভয়াবহ ছোবল থেকে আমরা রক্ষা করতে পারব মানুষকে, তদুপরি বাংলাদেশকে, যোগ করেন মোহাম্মদ ইশ্মাম।
Discussion about this post