১) চীনের বাহিরে প্রথম কোন দেশে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করেছে?
উঃ ফিলিপাইন (চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত
দেশ দক্ষিণ কোরিয়া কিন্তু প্রথম আক্রান্ত দেশ ফিলিপাইন)
২) বেক্সিট কার্যকর হয়-৩১জানুয়ারি।
৩) মুজিব বর্ষের গণনা শুরু হয় কবে? মুজিব বর্ষের লোগো কে ডিজাইন করেন?
উঃ ১০ জানুয়ারি ২০২০। সব্যসাচী হাজরা
৪) ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হয় কবে? দৈর্ঘ্য কত?
উঃ ১২ মার্চ ২০২০, ৫৫কি.মি.
৫) কোন দেশ কমনওয়েলথ থেকে বের হয়ে সম্প্রতি আবার কমন ওয়েলথ এ যোগ দিয়েছে?
উঃ মালদ্বীপ (৫৪)
৬) যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানদের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কোথায়, কখন হয়?
উঃ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, কাতারের রাজধানী দোহা।
৭) বাংলাদেশ ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান কার, কোনটাতে কত?
উঃ লিটন কুমার দাস ১৭৬ (১৪৩) বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে ৩য় ওয়ানডেতে
তারিখ- ৬ মার্চ ২০২০
৮) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনাকে মহামারি ঘোষনা করে কবে?
উঃ ১১ মার্চ ২০২০।
৯) বাংলাদেশ কততম দেশ হিসেবে কোভিড-19 সনাক্ত করে এবং কত তারিখ
উঃ ১০৭ তম ৮ মার্চ ২০২০
১০) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অব লজ উপাধি দেবে? কত তারিখে?
উত্তরঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
১১) আইসোলেশন ইউনিট’ কী?
উত্তরঃ সংক্রামক রোগীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা।
১২) করোনা কোন ভাষার শব্দ এবং এর অর্থ কী?
উঃ ল্যাটিন শব্দ, অর্থ- মুকুট
১৩) কোন দেশ আইসিসি উইমেন্স টি-২০ বিশ্বকাপ-২০২০ এর চ্যাম্পিয়ন?
উঃ অস্ট্রেলিয়া( রানার্স আপ-ভারত)।
১৪) বর্তমানে স্থলবন্দর কতটি ও সর্বশেষ স্থল বন্দরের নাম কি?
উঃ ২৪টি। শেওলা স্থলবন্দর, বিয়ানীবাজার , সিলেট
১৫) করোনা ভাইরাস কোথায় থেকে উৎপত্তি এবং কতো তারিখে?
উঃ চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
১৬) আইনের শাসন সূচকে বাংলাদেশ কততম?
উঃ ১২৮ টি দেশের মধ্যে ১১৫ তম।
১৭) বর্তমানে তফসিল ভুক্ত ব্যাংক কতটি?
সর্বশেষ তফসিল ভুক্ত ব্যাংক কোনটি?
উঃ ৬০ টি,বেঙ্গল কর্মাশিয়াল ব্যাংক
১৮) কোন সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়?
উঃ ১৭ ই মার্চ ২০২০-২৬ মার্চ ২০২১ সালকে
১৯) নারী দিবস সম্মাননা পুরস্কার ২০২০ কে পেয়েছে ?
উ: রোকেয়া রফিক বেবি
২০) ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ কত তারিখে মারা যান?
উঃ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯
২১) Iedcr এর পূর্ণরূপ কি?এর মহাপরিচালক কে?
উঃ Institute
of epidemiology disease control and research, মহাপরিচালক: মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা
# করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২৫ লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
#করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং এর বিস্তার রোধের কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ইউএসএইডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২৫ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
# স্বাস্থ্যসেবাগুলোতে সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ (আইপিসি) ব্যবস্থা জোরদার করা, নমুনা পরিবহন ও রেফারাল সিস্টেমের উন্নতি করা এবং মানুষকে সচেতন করতে যোগাযোগ বৃদ্ধি– এই তিনটি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থায়ন করবে ইউএসএইড। খবর ইউএনবির
# দ্রুত রোগ নির্ণয়, কেস ম্যানেজমেন্ট, আইপিসি এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইউএসএইড বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ৭ লাখ মার্কিন ডলার দেবে। এ ছাড়া অলাভজনক এফএইচআই৩৬০ দ্বারা বাস্তবায়িত সংক্রামক রোগ শনাক্তকরণ ও নজরদারি (আইডিডিএস) প্রোগ্রামের জন্য সাড়ে ৬ লাখ ডলার এবং অলাভজনক ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস অব হেলথ (এমএসএইচ) দ্বারা বাস্তবায়িত মেডিসিন, টেকনোলজিস এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিসেস (এমটিএপিএস) প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত আরও সাড়ে ৬ লাখ ডলার দেবে ইউএসএইড।
্বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সম্পর্কে বিস্তৃত জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য উপকরণ বিকাশ ও এর প্রসারণের জন্য জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫০ হাজার ডলার দেবে ইউএসএইড।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরার সঙ্গে সাক্ষাত করে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। তহবিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কেও আইইডিসিআর পরিচালককে অবহিত করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
করোনা ভাইরাসকে নিয়ে আরো কিছু তথ্য
১। করোনা ভাইরাস বিশালাকৃতির ভাইরাস, যার কোষের প্রস্থ ৪০০-৫০০ মাইক্রোমিটার। সুতরাং যে কোনও মুখোশ যেটা এই আকারের বস্তুকে প্রতিহত করতে পারে সেটা ব্যবহার করলেই হবে, ফার্মাসিস্টদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
২। ভাইরাসটি বায়ুবাহী নয়, আকারে বড় ও ভারী বলে এটা মাটিতে পড়ে থাকে।
৩। করোনা ভাইরাস যখন ধাতব কোনো পৃষ্ঠের উপর পড়ে তখন এটি ১২ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে। কাপড়ের উপরে পড়লে ৯ ঘন্টা, সরাসরি শরীরে লাগলে ১০ মিনিট পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তাই সাবান এবং পানি দিয়ে ভালভাবে জামাকাপড়, শরীর পরিষ্কার করলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব।
৪। যদি ভাইরাসটি ২২°-২৭° ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চলে আসে তবে এটি মারা যাবে, কারণ এটি গরম অঞ্চলে বাস করে না। এছাড়াও গরম পানি খেলে এবং সূর্যের আলোয় থাকলে করোনাভাইরাস কার্যকর হতে পারে না।
৫। আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন এবং ঠান্ডা আবহাওয়া পরিহার করুন।
৬। উষ্ণ- লবণপানিতে গার্গল করলে করোনাভাইরাস মরে যায় এবং টনসিল ও ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে না।
এই ছয়টি উপায় মেনে চললে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
#তথ্যসূত্রঃ ইউনিসেফ
#করোনা_ভাইরাস (কোভিড-১৯) নিজেই পরীক্ষা করুন।
এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্ব, বিশেষ করে চীন ও আশেপাশের দেশগুলোতে প্রচণ্ড আতংকের সৃষ্টি করেছে।
এ যাবত প্রায় তিনহাজার মানুষ মারা গিয়েছেন, যার প্রায় দুইহাজার আটশত জনই চীনে।
বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সন্ধান মিলেছে, এবং সারা বিশ্বে ৮০হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।বাংলাদেশেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজন বাংলাদেশির মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
সমস্যা হচ্ছে, কেউ আক্রান্ত হলে তার দেহে এই ভাইরাসের চিহ্ন বা লক্ষণ খুঁজে পেতে অনেকদিন সময় লেগে যায়।
সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জ্বর বা কাশি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার ফুসফুসের ৫০% ফাইব্রোসিস (সূক্ষ্ম অংশুসমূহের বৃদ্ধি) তৈরি হয়ে যায়, যার মানে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সেটা নিজে নিজেই পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যেটা কেউ প্রতিদিন সকালে উঠেই কয়েক সেকেন্ডে একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিন্ত হতে পারেন।
#পরীক্ষাটা_হলো;
পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে সেটাকে দশ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে আটকে রাখুন।
যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনার কোনো কাশি না আসে, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব না হয়, মানে কোনো প্রকার অস্বস্তি না লাগে, তার মানে আপনার ফুসফুসে কোনো ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি অর্থাৎ কোনো ইনফেকশন হয়নি, আপনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত আছেন।
———
জাপানের ডাক্তাররা আরেকটি অত্যন্ত ভালো উপদেশ দিয়েছেন যে, সবাই চেষ্টা করবেন যেন আপনার গলা ও মুখের ভেতরটা কখনো শুকনো না হয়ে যায়, ভেজা ভেজা থাকে। তাই প্রতি পনেরো মিনিট অন্তর এক চুমুক হলেও পানি পান করুন।
কারণ, কোনোভাবে ভাইরাসটি আপনার মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলেও সেটি পানির সাথে পাকস্থলীতে চলে যাবে, আর পাকস্থলীর এসিড মুহূর্তেই সেই ভাইরাসকে মেরে ফেলবে।
করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, গ্লোবাল ইকোনমি ক্রাস, ত্রাস, ভয় , আতঙকের উপর খুব অল্প কথায় ডাটা সহ জটিল বিশ্লেষণ করেছে হংকং বেইসড একটা অনলাইন পত্রিকা। পড়ে দেখুন। কাজে লাগবে।
২০০৩ সালে সারস ভাইরাসে এ্যাটাক করেছিলো প্রায় ২৬ টি দেশ। মৃত্যুহার ছিলো ১০%।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুতে ৫৭ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়। মৃত্যুহার ৪.৫%
২০১৪ সালে ইবোলায় মৃত্যুহার ২৫% । মারা যায় ১১,৩১০ জন।
আর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার মাত্র ২%। মারা গেছে এ পর্যন্ত ৩০৫২ জন।
এই যখন ঘটনা। তখন করোনা ভাইরাসে দুনিয়া ব্যাপি এতো আতঙ্ক ছড়ালো কেন? কেন ইতালি, চায়না, হংকং এর এয়ারপোর্ট একেবারে জনশূন্য হয়ে গেলো। গ্রোসারি মার্কেট, হোলসেলের দোকান একেবারে স্টক শূণ্য হয়ে গেলো। কেন প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলার শেয়ার মার্কেটে রাতারাতি ক্রাস হয়ে গেলো। কেন ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিতে ব্যাপক ধ্বস নামলো?
কারণ হলো সংবাদ কনজিউমের পুরো ন্যাচারটিই দুনিয়াব্যাপি খুব দ্রত বদলে গেছে।
২০০৩ সালে ফেসবুক , হোয়াটসআপ ছিলোনা। যখন সারস ভাইরাসে ২৬ টি দেশ আক্রান্ত হয়।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর সময় দুনিয়াব্যাপি ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিলো মাত্র ১৫০ মিলিয়ন।
২০১৪ সালে ইবোলার সময় হোয়াটস্যাপ ব্যবহার কারী মাত্র ২৫০ মিলিয়ন।
আর ২০২০ সালে অন্যান্য মিডিয়া বাদ শুধু ফেসবুক আর হোয়াটসআপ ব্যবহার করছে লাখ, কোটি, মিলিয়ন না। প্রায় চার বিলিয়ন মানুষ।
সোসালমিডিয়ার এই শক্তি ব্যাপক। প্রতি সেকেণ্ডেই খবর ছড়াচ্ছে। কথায় বলে দুঃসংবাদ ঘোড়ার আগে ছুটে। একটা ভাইরাসে একজন মানুষের মৃত্যু সংবাদ এখন মুহুর্তেই বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সুতরাং মানুষতো আতংকিত হবেই। দূর বলতে এখন আর কিছুই নেই। চায়নার উহানের দূর্ঘটনাকে মনে হবে আপনার পাশের বেডরুমেই ঘটছে। হাজার হাজার গ্রুপে, হাজার হাজার পেজে একই সংবাদ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সংবাদ যদি হয় দুঃসংবাদ। আর এই বিশাল মিডিয়া পাওয়ারই দুনিয়াব্যাপি মানুষকে আতংকিত করেছে এবং গ্লোবাল ইকোনিমিতে ধ্বস নামিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড হেলথের অর্গের মতে-সাবধান হোন। আতংকিত হবেন না।
আপনার বয়স যদি ৫০ এর নীচে হয় তবে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ০.০২%
৫০ এর ওপরে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ১.৫% তাও যদি শ্বাসকষ্ট থাকে। যত লোক মারা গেছে তাদের ৯৮% এর বয়স ৮০ এর ওপরে।
Discussion about this post